Job Preparation in Bangladesh entire blog post is now available in BOOK & E-BOOK form. Please go to the contact us page and order now. !!! Book Price–350tk and E-book Price-100tk !!!

Bangla

বাংলা ব্যাকরণ
  • ব্যাকরণ অর্থ কি - সংবিধান।
  • কৌশলে কার্য উদ্ধার কোনটির অর্থ - ধরি মাছ না ছুঁই পানি।
  • একাদশে বৃহস্পতি এর অর্থ কি - সৌভাগ্যের বিষয়।
  • বাংলা ভাষার মূল উপাদান কি - ধ্বনি।
  • ধ্বনি কত প্রকার - ২ প্রকার।
  • কত গুলো বর্ণ পাশাপাশি সাজালে কি হয় - ধ্বনি হয়।
  • কোন পদের বিভক্তি হয় না - অব্যয় পদের বিভক্তি হয় না।
  • শব্দের মূলকে কি বলে - প্রকৃতি বলে।
  • বাংলা ভাষার আদি উৎস কি - মাগধী প্রকৃতি।
  • স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপকে কি বলে - কার বলে।
  • খাঁটি বাংলা শব্দ কাকে বলে - তদ্ভব শব্দকে খাঁটি বাংলা শব্দ বলে।
  • বাংলা ভাষার উৎপত্তি কবে - সপ্তম শতাব্দিতে।
  • বাংলা ভাষার আনুমানিক বয়স কত - প্রায় দেড় হাজার বছর।
  • বাংলা লিপির উৎস কি - বাম্মী লিপি।
  • চর্যা পদের আদি নির্দেশক কে - লুইপা।
  • চর্যা পদের আনুমানিক বয়স কত -প্রায় এক হাজার বছর।
  • বাংলা সাহিত্যের প্রাচিন তম শাখা কি - কাব্য।
  • বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সহজ ধারাগীত কি - কবিতা।
  • বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন প্রকৃত থেকে -  মাগধী প্রকৃত থেকে।
  • বাক্যের কয়টি গুন থাকে কি কি - তিনটি গুন থাকে যথাঃ আকাংখা, আসক্তি, যোগ্যতা।
  • ভাষা ভাষি জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলা ভাষার স্থান কত - ৪র্থ।
  • বিশেষ্য পদ কাকে বলে - যে পদ দিয়ে কোন কিছুর নাম বুঝানো হয় তাকে বিশেষ্য পদ বলে।
  • বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসগ কতটি - ২১টি।
  • বাংলা ভাষায় বিদেশী উপসর্গ কতটি - ১৮ টি।
  • বাংলা ভাষায় তৎসম উপসর্গ কতটি - ২০টি।
  • বাংলা ভাষায় কতটি স্বরবর্ণ আছে - ১১ টি।
  • বাংলা ভাষায় কতটি ব্যঞ্জনবর্ণ আছে - ৩৯ টি।
  • বাংলা ভাষায় মোট কতট বর্ণ আছে - ৫০ টি।
  • বাংলা ভাষায় মাত্রা ছাড়া বর্ণ কতটি - ১০ টি।
  • বাংলা ভাষায় অর্ধ মাত্রা বর্ণ কতটি - ৮টি।
  • বাংলা ভাষায় পূর্ণ মাত্রা বর্ণ কতটি - ৩২ টি।
  • বাংলা ভাষায় কার এর সংখ্যা কতট - ১০ টি।
  • বাংলা ভাষায় ফলা কতটি - ৭ টি।
  • বর্ণ কত প্রকার - ২ প্রকার।
  • কথা বলার জন্য কোন অঙ্গটি বেশি প্রয়োজন - ওষ্ঠ অঙ্গটি।
  • যুগ্ন বর্ণ কাকে বলে - বিভিন্ন বর্ণ যুক্ত হলে তাকে যুগ্ন বর্ণ বলে।
  • বাক্যে যার সম্পর্কে বলা হয় তাকে কি বলে - উদ্দেশ্য বলে।
  • পদ কাকে বলে - বাক্যে ব্যবহিত প্রত্যেকটি অর্থবোধক শব্দকে পদ বলে।
  • চর্যা পদের কোন পদটি খন্ডিত আকারে পাওয়া গেছে - ১০ নং পদ।
  • করন শব্দের অর্থ কি - দ্বারা।
  • যতই পড়িবে ততই শিখিবে - The more you read the more you will learn.
  • বাজেট সম্পর্কে লোক কি বলেছেন - What do the people say about the budget.
  • ঈদ এক মাস বাকী - It is one month to Eid.
  • বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ - Bangladesh is a progressing country.
  • দশটা বাজতে ১৫ মিনিট বাকী - It is fifteen minutes to ten.
  • টাকায় টাকা হয় - Money be gets money.
  • দীনে দয়া কর - Be kind on the poor.
  • যে যত পায় সে তত চায় - The more he gets the more he wants.
  • এখন ১০ টা বেজে ১৫ মিনিট - It is ten past fifteen minutes.
  • আপনে বাঁচলে বাপের নাম - To preservation is the first low of nature.
  • চাচা আপন প্রান বাঁচা - Every man is for himself.
  • ফলেতে পরিচয় - A tree is known by its fruits.
  • বিপদ কখনো একা আসে না - Misfortune never come alone.
  • শুধু কথায় পেট ভরে না - Wishes never fill the bag.
  • পেলেনা তাই খেলেনা - The grapes are sour.
  • গায়ে মানেনা আপনী মোড়ল - A fool of others to himself a sage.
  • ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগিটি মারা গেল - The patient had died before the doctor came.
  • ডাক্তার আসিবার পর রোগিটি মারা গেল - The patient had died after the doctor had come.
  • পানির কোন রং নেই - Water has no colour of its own.
  • একজন সবাইকে খুশি করতে পারে না - One cannot please everyone.
  • যত বেশি তত খুশি - The more the merrier.
  • গরীব সর্বদাই অত্যাচারিত হয় - poor are always punish by the rich man.
  • তার বাবা একজন সৎ কর্মচারী - His father is an honest officer.
  • সূর্য পূর্ব দিকে উঠে - The Sun rise in the East.

বচন
  • বচন অর্থ কি - সংখ্যা।
সাধারনত মূল শব্দের সাথে (রা,গণ,দল,গুলো,বগ©,রাশি,গুচ্ছ,রাজি,পুঞ্জ,মালা,বলী) ইত্যাদি শব্দ যোগ করে বহুবচন করা হয়।

একবচন
বহুবচন
একবচন
বহুবচন
বালক
বালকেরা
কুকুর
কুকুরগুলো
ধনী
ধনীগণ
মানুষ
মানুষগুলো
ছাত্র
ছাত্ররা
লোক
লোকগুলো
কবি
কবিগণ
শিক্ষক
শিক্ষকমন্ডলী
মন্ত্রী
মন্ত্রিবর্গ
ডাকাত
ডাকাতদল
বই
বইগুলো
পর্ব
পর্বতমালা
মেঘ
মেঘপুঞ্জ
পত্র
পত্রবলী
তারকা
তারকারাজি
বৃক্ষ
বৃক্ষরাজি
গ্রন্থ
গ্রন্থবলী
জল
জলরাশি
ঘটনা
ঘনটাবলী
ধূলি
ধুলিরাশি
রাশি
রাশিমালা
কবিতা
কবিতারাজি
গল্প
গল্পগুচ্ছ
হাত
হাতগুলো
এ/যে
এরা/যারা
কে
কারা
ইনি
এরা
যিনি
যারা
সে,তিনি
তারা
তা
সেগুলো

লিঙ্গ পরিবর্ত
লিঙ্গ কত প্রকার - ৪ প্রকার যথাঃ ১.পুংলিঙ্গ, ২.স্ত্রীলিঙ্গ, ৩.উভয়লিঙ্গ, ৪.ক্লীবলিঙ্গ।
লিঙ্গ কথাটির অর্থ কি - চিহ্ন।
পুংলিঙ্গ
স্ত্রীলিঙ্গ
পুংলিঙ্গ
স্ত্রীলিঙ্গ
চতুর
চতুরা
গোয়ালা
গোয়ালিনী
মহাশয়
মহাশয়া
গুরু
গুর্বী
মহৎ
মহতী
পিতামহ
পিতামহী
কিনিষ্ঠ
কনিষ্ঠা
প্রিয়
প্রিয়া
চপল
চপলা
শূদ্র
শূদ্রানী
সরল
সরলা
রজক
রজকী
পাগল
পাগলিনী
অভাগা
অভাগিনী
নাপিত
নাপিতানী
মেথর
মেথরানী
সভাপতি
সভানেত্রী
ব্যাঘ্র
ব্যাঘ্রী
অনাথ
অনাথা
শিষ্য
শিষ্যা
প্রথম
প্রথমা
পাচক
পাচিকা
সম্পাদক
সম্পাদিকা
ভাগ্যবান
ভাগ্যবতী
সৎ
সতী
রূপবান
রূপবতী
শ্রীমান
শ্রীমতী
মহৎ
মহতী
বিদ্বান
বিদূষী
শুক
সারী
কর্তা
গিন্নী
খান
খনম
ভাসুর
জা
খানসামা
আয়া
জনক
জননী
পতি
জায়া
সম্রাট
সম্রাজ্ঞী
ভূত
পেত্নী
কবি
মহিলা কবি
প্রভূ
প্রভুপত্নী
সত্যবাদি
সত্যবাদিনী
সভ্য
মহিলা সভ্য
শিল্পী
মহিলা শিল্পী
শ্রমিক
নারী শ্রমিক
বোন-পো
বোন-ঝি
পুলিশ
মহিলা পুলিশ
তনয়
তনয়া
ক্রৌঞ্চ
ক্রৌঞ্চা
মৃগ
মৃগী
সাধু
সাধ্বী
কিঙ্কর
কিঙ্করী
ব্রাক্ষ্ম
ব্রাক্ষ্মণী
উপধ্যায়
উপাধ্যায়ানী
ভক্ষক
ভক্ষিকা
মাতুল
মাতুলানী
চৌধুরী
চৌধুরানী
পন্ডিত
পন্ডিতানী
বন
বনানী
বরুণ
বরুণানী
মৃন্ময়
মৃন্ময়ী
ভুজঙ্গ
ভুজঙ্গী
শ্বেতাঙ্গ
শ্বেতাঙ্গিনী
জামাইবাবু
দিদিমণি
ভূয়ান
ভূয়সী
ঠাকুর
ঠাকুরণ
হুজুর
হুজুরাইন
শ্রেয়ান
শ্রেয়সী
যশস্বী
যশস্বিনী

সন্ধি বিচ্ছেদ
  • সন্ধি কত প্রকার - ৩ প্রকার যথাঃ ১.স্বরসন্ধি, ২.ব্যঞ্জনসন্ধি, ৩.বিসর্গসন্ধি।
  • সন্ধি অর্থ কি - মিলন।
  • সন্ধি শব্দকে কি করে - সহজ করে।

নিম্নে কতগুলো সন্ধি বিচ্ছেদ দেখালো হলোঃ
অন্য+অন্য = অন্যান্য
অপর+অপর= অপরাপর
বধূ+উৎসব = বধূৎসব
নব+অন্ন = নবান্ন
স্ব+অধীন = স্বাধীন
দিব+লোক = দ্যুলোক
ভিক্ষা+অন্ন = ভিক্ষান্ন
যথা+অর্থ = যথার্থ
মহী+ঈশ = মহীশ
মহা+অর্ঘ =মহার্ঘ
মহা+আশয় = মহাশয়
লঘু+ঊর্মি = লঘূর্মি
অতি+ইত = অতীত
রবি+ইন্দ্র = রবীন্দ্র
সতী+ঈশ = সতীশ
প্রতি+ঈক্ষা = প্রতীক্ষা
ক্ষিতি+ঈশ = ক্ষিতীশ
কটু+উক্তি = কটূক্তি
স্ব+ইচ্ছা = স্বেচ্ছা
নর+ঈশ = নরেশ
পরম+ঈশ্বর = পরেমশ্বর
মহা+ইন্দ্র = মন্দ্রেহ
উমা+ঈশ = উমেশ
হিত+উপদেশ = হিতোপদেশ
পর+উপকার = পরোপকার
সূর্য+উদয় = সূর্যোদয়
ফল+উদয় = ফলোদয়
নব+ঊড়া = নবোঢ়া
এক+ঊন = একোন
পর্বত+ঊর্ধ্ব = পর্বতোর্ধ্ব
গৃহ+ঊর্ধ্ব = গৃহোর্ধ্ব
মহা+উদয় = মহোদয়
যথা + উচিত = যথোচিত
মহা+ঊর্মি = মহোর্মি
গঙ্গা+ঊর্মি = গঙ্গোর্মি
জন+এক = জনৈক
হিত+এষী = হিতৈষী
এক+এক = একৈক
মত+ঐক্য = মতৈক্য
রাজ+ঐশ্বর্য = রাজৈশ্বর্য
সদা+এব = সদৈব
তথা+এব = তথৈব
সপ্ত+ঋষি = সপ্তর্ষি
দেব+ঋষি = দেবর্ষি
রাজা+ঋষি = রাজর্ষি
শীত+ঋত = শীতার্ত
ক্ষুধা+ঋত = ক্ষুধার্ত
নে+অন = নয়ন
নৈ+অক = নায়ক
পো+অন = পবন
লো+অন = লবণ
গো+এষণা = গবেষণা
গো+আদি = গবাদি
পৌ+অক = পাবক
নৌ+ইক = নাবিক
ভৌ+উক = ভাবুক
অতি+অন্ত = অত্যন্ত
প্রতি+এক = প্রত্যেক
ইতি+আদি = ইত্যাদি
সু+অল্প = স্বল্প
সু+আগত = স্বাগত
অনু+এষণ = অন্বেষণ
সু+অচ্ছ = স্বচ্ছ
পর+পর = পরস্পর
বন+পতি = বনস্পতি
গো+পদ = গোস্পদ
ষট+দশ = ষোড়শ
পোয়া+উনে = পৌনে
প্র+ঊঢ় = প্রৌঢ়
এক+দশ = একাদশ
তৎ+কর = তস্কর
আ+চর্য =আশ্চর্য
বাক+ঈশ = বাগীশ
ষট+যন্ত্র = ষড়যন্ত্র
ষট+আনন = ষড়ানন
ষট+ঋতু = ষড়ঋতু
চলৎ+চিত্র = চলচ্চিত্র
উৎ+চারণ = উচ্চারণ
তদ+ছবি = তচ্ছবি
উৎ+জ্বল = উজ্জ্বল
কুৎ+ঝটিকা = কুজ্ঝটিকা
বি+ছেদ = বিচ্ছেদ
বি+ছিন্ন = বিছিন্ন
এক+ছত্র =একচ্ছত্র
উৎ+শ্বাস = উচ্ছ্বাস
চলৎ+শক্তি = চলচ্ছক্তি
বৃষ+তি = বৃষ্টি
নষ+ত = নষ্ট
ষষ+থ = ষষ্ঠ
নিষ+থা = নিষ্ঠা
সম্+বাদ = সংবাদ
কিম্+বা = কিংবা
সম্+ঘ = সংঘ
সম্+যোগ = সংযোগ
নিঃ+ঠুর = নিষ্ঠুর
পরিঃ+কার = পরিষ্কার
পুরঃ+কার = পুরস্কার
নিঃফল = নিষ্ফল
অহঃ+অহ = অহরহ
শিরঃ+ছেদ = শিরচ্ছেদ
দুঃ+আত্না = দুরাত্না
নিঃ+আপদ = নিরাপদ
অতঃ+এব = অতএক
নিঃ+অবধি = নিরবধি
প্রাতঃ+আশ = প্রাতরাশ
যশঃ+ইচ্ছা = যশেচ্ছা
বয়ঃ+অধিক= বয়োধিক
অন্তঃ+আত্না = অন্তরাত্না
পুনঃ+অধিকার=পুনরাধিকার
পুনঃ+আগত= পুনরাগত
জ্যোতিঃ+ইন্দ্র= জ্যোতিরিন্দ্র
বিঃদ্রঃ যদি শব্দের শেষে শ/ক্ষ থাকলে তার পরিবর্তে – ঈ হবে এবং ঢ়/( © ) থাকলে – ঊ হবে।

বিপরীতার্থক শব্দ
প্রদত্ত শব্দ
বিপরীত শব্দ
প্রদত্ত শব্দ
বিপরীত শব্দ
অধম
উত্তম
আকার
নিরাকার
অস্ত
উদয়
অগ্র
পশ্চাৎ
আদি
অন্ত
ইতি
শুরু
উষ্ঞ
শীতল
কু
সু
ঈষৎ
প্রচুর
খরিদ
বিক্রয়
চঞ্চল
স্থির
নিদ্রিত
জাগ্রত
প্রভু
ভৃত্য
বিদ্বান
মূর্খ
লঘু
গুরু
ঔদ্ধত্য
বিনয়
অনুগ্রহ
নিগ্রহ
সৌম্য
উগ্র
চাক্ষুস
অগোচর
নিমগ্ন
উদাসীন
আবাহন
বিসর্জ
অনুরক্ত
বিরক্ত
অলীক
সত্য
অধিত্যকা
উপত্যকা
অশন
অনশন
অম্ল
মধুর
অর্বাচীন
প্রচীন
আর্দ্র
শুষ্ক
আসামী
ফরিয়াদি
আবির্ভাব
তিরোধান
অণু
বৃহৎ
অধঃ
ঊর্ধ্ব
আকুঞ্চন
প্রসারণ
অন্ত্য
আদ্য
আকস্মিক
চিরন্তন
আঁটি
শাঁস
উদ্ধত
বিনীত
ঋজু
বক্র
ইদানিং
তাদৃশ
উদ্যত
বিরত
উৎরানো
তলানো
উৎকন্ঠা
স্বস্তি
এঁড়ে
বকনা
ঈশান
নৈর্ঋ
ঊষর
উব©
কৃষ্ঞ
শুভ্র
ক্রন্দন
হাস্য
ঔচিত্য
অনৌচিত্য
ক্ষয়িষ্ঞু
বর্ধিষ্ঞু
গূঢ়
ব্যক্ত
গঞ্জনা
প্রশ্রয়
গোরা
কালা
ঢ্যাঙা
খাঁটো
দৈব
দুর্দৈব
পারত্রিক
ঐহিক
বহিরঙ্গ
অন্তরঙ্গ
বিস্তৃত
সংক্ষিপ্ত
ভূত
ভবিষ্যৎ
মহাত্মা
পাপাত্মা
মূর্ত
বিমূর্ত
সনা
প্রশংসা
মন্থর
দ্রুত
মত্ত
নির্লিপ্ত
রোষ
প্রসাদ
লেজা
মুড়া
শীর্ণ
স্থূল
শৈত্য
গ্রৈষ্ম
লিকলিকে
মোটাসোটা
শর্তাধীন
নিঃশর্ত
শর্বরী
দিবস
শড়া
টাটকা
শ্রী
কুশ্রী
সৌম্য
করাল
হর্ষ
বিষাদ
হরণ
পূরণ
হলাহল
সুধা
হৃদ্যতা
কপটতা
হ্রস্ব
দীর্ঘ
হৃদ্য
ঘৃণা
লেখ্য
কথ্য
দৃঢ়
শিথিল
তামসিক
রাজসিক

কারক ও বিভক্তি
কারক ছয় প্রকার যথাঃ ১)কর্তৃকারক ২)কর্মকারক ৩)করণ কারক ৪)সম্প্রদান কারক ৫)অপাদান কারক ৬)অধিকরণ কারক ।

নিচের একটি বাক্যে উল্লেখিত ছয়টি কারকের উপস্থিতি দেখানো হলঃ

{ করিম সাহেব তার বাড়িতে নিজ হাতে বাক্স হতে ভিখারীদের টাকা দান করছেন }
কে দান করেছন? উত্তরঃ করিম সাহেব; এখানে করিম সাহেব
(কর্তৃ সম্পর্ক)
কি দান করেছেন ? উত্তরঃ টাকা; এখানে টাকা (কর্ম সম্পর্ক)
কি দিয়ে দান করেছেন ? উত্তরঃ হাত দিয়ে; এখানে হাত দিয়ে
(করণ সম্পর্ক)
কাদের দান করেছন ? উত্তরঃ ভিখারীদের; এখানে ভিখারীদের
(সম্প্রদান সম্পর্ক)
কোথা হতে দান করেছেন ? উত্তরঃ বাক্স হতে; এখানে বাক্স হতে (অপাদান সম্পর্ক) ।
কোথায় দান করেছেন ? উত্তরঃ বাড়িতে (অধিকরণ সম্পর্ক) ।
নিম্নে এদের সংঙ্গা দেওয়া হল-

কর্তৃকারক
যে ক্রিয়া সম্পাদন করে বা যার দ্বারা সম্পন্ন হয় তাকে কর্তৃকারক বলে। যেমন- রানা ভাল ছেলে, জুয়েল বই পড়ে।
কর্মকারক
কর্তা যা করে তাকে কর্ম কারক বলে। যেমন-কুরআন পড়তে হবে, ফাহিম রাফিদকে কলমটি দিল।
করণ কারক
কর্তা যা দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে করণ কারক বলে। যেমন-রহমান ছুরি দ্বারা হাত কাটল, মন দিয়ে পড়।
সম্প্রদান কারক
যাকে নিজ স্বত্ব ত্যাগ করে কোনো কিছু দান করা হয় তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন-ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দাও।
অপাদার কারক
যা হতে চলিত,ভীত,উৎপন্ন,গৃহীত,রক্ষিত ইত্যাদি দ্বারা বাক্য সম্পাদিত হয় তাকে অপাদান কারক বলে।যেমন- মেঘ হতে বৃষ্টি হয়, তিল হতে তৈল হয়।
অধিকরণ কারক
যে স্থানে যে সময়ে বা বিষয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে অধিকরণ কারক বলে।যেমন- বনে বাঘ থাকে, সকালে সূর্য উঠে, আমি অংকে ভাল।
বিভক্তি
বিভক্তির নাম
বিভক্তির চিহ্ন
উদাহরণ
প্রথমা বা (শূন্য)
রা
আমি দিব্য চক্ষু পেয়েছি।
যুবকরা প্রাণপনে চেষ্টা করে।
দ্বিতীয়া
কে, রে, দের
তোমাকে বাড়ি যেতে হবে।
বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দাও।
তৃতীয়া
দ্বারা, দিয়ে/দিয়া, কর্তৃক
সে ঠোঁট দিয়ে শব্দ করে।
রনি কর্তৃক বই পঠিত হয়।
চতুর্থী
কে, রে, দিগের
রহিম বালকরে মেরেছে।
আমি তোমারে দেখে নেব।
পঞ্চর্মী
হতে, থেকে, চেয়ে
তোমার চেয়ে আমি উত্তম।
করিমের থেকে রহিম ভাল।
ষষ্ঠী
রাজের দর্শন মেলে না।
তোমর এ কাজ করা উচিত।
সপ্তমী
এ, তে, য়
পাগলে কি না বলে।
তোমায় দেখলে পাপ হয়।
বিঃদ্রঃ এখানে যে শব্দের নিচে দাগ থাকবে সে শব্দের শেষের অক্ষরটা অথবা শব্দটা দেখে বা উচ্চারন করে বিভক্তি নির্নয় করতে হবে।

সমাস
  • সমাস শব্দের অর্থ কি - সংক্ষেপ।
  • সমাস ভাষাকে কি করে - সংক্ষেপ করে।
  • তৎপুরুষ সামাসে কোন পদ প্রধান - পর পদ।
  • সমাস ছয় প্রকার যথাঃ 1) দ্বন্দ্ব সমাস,2) কর্মধারয় সমাস,3) তৎপুরুষ সমাস,4) বহুব্রীহি সমাস,5) ‍দ্বিগু সমাস,6) অব্যয়ীভাব সমাস।


  • দ্বন্দ্ব সমাসঃ যে সমাসের সমস্ত পদে পূর্বপদ এবং পরপদ উভয়ের অর্থেরই প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।যেমনঃ মাতা ও পিতা=মাতাপিতা, ডাল ও ভাত= ডালভাত, হত ও অহত=হতাহত, ধর্ম ওঅর্ধ= ধর্মাধর্ম


  • কর্মধারয় সমাসঃ বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ মিলে যে সমাস হয় এবং সমস্ত পদে পরপদের অর্থ প্রাধা্ন্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।যেমনঃ যিনি রাজা তিনি ঋষি= রাজর্ষি, বিষাদ রূপ সিন্ধু= বিষাদসিন্ধু, লাল যে ফুল=লালফুল।


  • তৎপুরুষ সমাসঃ যে সমাসে পূর্বপদে বিভক্তি লোপ পেয়ে পরপদের অর্থ প্রধান্য লাভ করে তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।যেমনঃ গায়ে ঢাকা= গা-ঢাকা, বিপদকে আপন্ন= বিপদাপন্ন, হাত দিয়ে ছানি = হাতছানি।


  • বহুব্রীহি সমাসঃ যে সমাসে পূর্বপদ বা পরপদ কোনোটির অর্থ  না বুঝিয়ে আলাদা অর্থ বুঝায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।যেমনঃ হাতে হাতে যে যুদ্ধ=হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা= কানাকানি, নদী মাতা যার=নদীমাতৃক,নেই ঈমান যার=বেঈমান, আশিতে বিষ যার= আশিবিষ।


  • দ্বিগু সমাসঃ যে সমাসে সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বপদ হয়ে সমাহার বা সমষ্টি ‍বুঝায় তাকে দ্বিগু সমাস বলে।যেমনঃ চার রাস্তার সমাহার= চৌরাস্তা, সপ্ত অহের সমাহার= সপ্তাহ, তিন কোণের সমাহার= ত্রিকোণ, তিন তারের সমাহার= সেতার, শত অব্দের সমাহার= শতাব্দী, নব রত্নের সমাহার= নবরত্ন, তিন মাথার সমাহার= তেমাথা, অষ্ট ধাতুর সমাহার= অষ্টধাতু।


  • অব্যয়ীভাব সমাসঃ অব্যয় পদ পূর্বে বসে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় এবং সমস্ত পদে পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।যেমনঃ কূলের সমীপে= উপকূল, মরণ পর্যন্ত= আমরণ, দিন দিন= প্রতিদিন, ভাতের অভাব= হাভাত, নদীর সদৃশ= উপনদী, জ্ঞানের যোগ্য= অভিজ্ঞ।

একার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ
  • অগ্নি – আগুন, অনল, হুতাশন, সর্বশুচি, সর্বভূক।
  • আনন্দ – খুশি, সুখ, হর্ষ, আমোদ, উল্লাস।
  • ইচ্ছা – সাধ, বাসনা, কামনা, অভিপ্রায়, অভিলাষ।
  • ঊষা – ভোর, সকাল, প্রভাত, প্রাতঃকাল, প্রত্যূষ।
  • কিরণ – আলো, কর, প্রভা, রশ্মি, জ্যোতি।
  • গৃহ – ঘর, আলয়, ভবন, সদন, নিকেতন,বাড়ী।
  • ঘোড়া – অশ্ব, ঘোটক, বাজী, তুরগ, তুরঙ্গম।
  • চন্দ্র – চাঁদ, শশী, শশক, শশধর, সুধাকর।
  • জল – পানি, নীর, জীবন, বারি, সলিল,পয়ঃ,অম্বু,উদক, অপৃ, অন্ত, তোয়া।
  • বন – জঙ্গল, কানন, অরণ্য, গহন, অটবী।
  • বাতাস – বায়ূ, হাওয়া, পবন, অনিল, সমীর।
  • মেঘ – দেয়া, জলধর, নীরদ, বারি, অভ্র।
  • রাজা – নৃপতি, ভূপাল, নরপতি, ভূপতি, দন্ডধর।
  • সূয© - দিবাকর, অরুণ, দিনমণি, ভানু, তপন।
  • হস্ত – হাত, কর, বাহু, ভুজ, পাণি।
  • পাহাড় - পর্বত, গিরি, শৈল, আর্দ্র, ভূধর, অচল, মহীধর,শৃঙ্গধর, মহেন্দ্র, অচল, অদ্রি, নড়।
  • কাক – বায়স, পরভৃৎ, বলিভুক, কাণুক, বৃক, ক্রূররব।
  • কন্যা – মেয়ে, নন্দিনী, তনয়া, দুহিতা, আত্মজা, দুলালী, পুত্রী, কুমারী, কনে, স্বজা।
  • চুল – কেশ, চিকুর, কুন্তল, অলক, কেশপাশ, কেশদাম।
  • চক্ষু – চোখ, আঁখি, অক্ষি,নয়ন, নেত্র, লোচন, দৃক, দৃষ্টি, দর্শনেন্দ্রীয়।
  • দেহ – গা, গাত্র, অঙ্গ, তনু, কায়া, শরীর, কলেবর, কায়।
  • পুত্র – ছেলে, তনয়, নন্দন, দুত, দুলাল, আন্মজ, সূনু, অঙ্গজ।
  • রাত্রি – নিশি, নিশা, রাত, রজনী, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশীথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা।
  • সাপ - সর্প, অহি, ভুজগ, ভুজঙ্গ, ভুজঙ্গম, নাগ, ফণী, ফণাধর, আশীবিষ, বিষধর, বায়ূভূক্।
  • সমুদ্র – সাগর, সিন্ধু, বারিধি, জলধি, অর্ণব, পারাপার, রত্নাকর, জলনিধি, নীলাম্বু, অম্বুধি, পয়োধি।
  • স্বর্গ - সুরলোক, দ্যু, দ্যুলোক, ত্রিদশালয়, বেহেশত, অমরাবতী, দিব্যলোক, জান্নাত, ইন্দ্রালয়।
  • স্বর্ণ - সোনা, কনক, কাঞ্চন, হিরণ্য, সুবর্ণ, হেম, হিরণ।
  • সূর্য - দিবাকর, প্রভাকর, রবি, তপন, সবিতা, দিনমণি, দিননাথ, কিরণমালী, ভানূ, আদিত্য, অরুণ।
  • হাতি – হস্তী, করী, গজ, নাগ, দন্তী, দ্বিপ, বারণ, মাতঙ্গ, কুঞ্জর, দ্বিরদ।

বাক্য সংকোচন
  • অক্ষির অগোচর – পরোক্ষ।
  • অক্ষির সম্মুখে – প্রত্যক্ষ।
  • উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে – কৃতজ্ঞ।
  • যা পূর্বে বা কখনো শোনা যায় নি - অশ্রুতপূর্ব
  • যা হতে পারে – সম্ভব।
  • গা পূর্বে ছিল - ভূতপূর্ব
  • যা পূর্বে ঘটে নি - অঘটনপূর্ব
  • যা মর্মকে স্পর্শ করে - মর্মস্পর্শী।
  • যা করা উচিত - কর্তব্য।
  • যা সহজে পাওয়া যায় না – দুষ্প্রাপ্য।
  • পান করার ইচ্ছা – পিপাসা।
  • ভিক্ষার অভাব – দুর্ভিক্ষ।
  • বাধা মানে না যে – অবাধ্য।
  • বিনা পয়সার – মুফৎ।
  • পা থেকে মাথা পর্যন্ত – আপাদমস্তক।
  • যে নারী প্রিয় কথা বলে – প্রিয়ংবদা।
  • দিনের প্রথম ভাগ – পূর্বাহ্ণ।
  • দিনের মধ্যভাগ – মধ্যাহ্ন।
  • দিনের শেষভাগ – অপরাহ্ন।
  • একই গুরুর শিষ্য - সতীর্থ
  • একই মায়ের সন্তান – সহোদর।
  • ভবিষ্যতে যা ঘটবে – ভবিতব্য।
  • ঘোড়ার ডাক – হ্রেষা।
  • পাখির কলরব – কূজন।
  • ময়ূরের ডাক – কেকা।
  • কোকিলের ডাক – কুহু।
  • ভ্রমরের ডাক – গুঞ্জন।
  • আপনার রং বা বর্ণ লুকায় যে - বর্ণচোরা।
  • আদি হতে অন্ত পর্যন্ত – আদ্যন্ত।
  • উড়ে যাচ্ছে যা – উড়ন্ত।
  • উপকারীর অপকার করে যে – কৃতঘ্ন।
  • যা জয় করা কঠিন - দুর্জয়।
  • যে গাছ অন্য গাছের উপর জন্মে – পরগাছা।
  • যে অন্য দিকে মন দেয় না – অনন্যমনা।
  • চৈত্র মাসের ফসল – চৈতালী।
  • হেমন্ত কালে জন্মে যা – হৈমন্তিক।
  • নিজের ইচ্ছায় – স্বেচ্ছায়।
  • বয়সে বড় যে – জ্যেষ্ঠ।
  • বয়সে ছোট যে – কনিষ্ঠ।
  • যা বলা হয়েছে – উক্ত।
  • জয় করার ইচ্ছা – জয়েচ্ছা।
  • বিদেশে থাকে যে – প্রবাসী।
  • মৃতের মত অবস্থা – মুমূর্ষু।
  • ইতিহাস জানেন যিনি – ইতিহাসবেত্তা।
  • যিনি ইতিহাস লিখেন – ঐতিহাসিক।
  • ন্যায় যুদ্ধে নিহত যে – শহীদ।
  • অন্যপক্ষ – বিপক্ষ।
  • পথ ভুলেছে যে – পথভোলা।
  • অবিরাম চেষ্টা – অধ্যবসায়।
  • যার অন্ন নেই – নিরন্ন।
  • বন্যায় ভেসে যেছে এমন – প্লাবিত।
  • কাজ করে সাফল্য অর্জন করা – কৃতিত্ব।
  • যিনি শিল্প চর্চা করে – শিল্পী।
  • যা সিদ্ধ হয় নি – আতপ।
  • জানার আগ্রহ – কৌতূহল।
  • যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না এক কথায় কি হবে - ঊষর।
  • যে বস্তি থেকে উৎখাত হয়েছে - উদ্বাস্তু।

বাগধারা
  • অন্ধের যষ্টি (একমাত্র অবলম্বন) – বিধবার ছেলেটিই এখন তার অন্ধের যষ্টি।
  • অমাবস্যার চাঁদ (যার দর্শন পাওয়া যায় না) – আজকাল তোমার দেখাই পাই না, তুমি কি অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেলে?
  • অর্ধচন্দ্র দেওয়া (গলাধাক্কা দেওয়া) – দারোয়ান, এই অভদ্র ছেলেটিকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দাও।
  • অরণ্যে রোদন (নিষ্ফল আবেদন) – কৃপণের নিকট ধার চাওয়া আর অরণ্যে রোদন করা একই কথা।
  • আকাশ-পাতাল (ব্যবধানে বিশালতা)- জনি ও রনি বন্ধু বটে, কিন্তু তাদের আদর্শের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।
  • আক্কেল সেলামী (অনভিঙ্গতার দন্ড) – বিনা টিকেটে রেলভ্রমণে আমার একশত টাকা আক্কেল সেলামী দিতে হল।
  • আকাশ-কুসুম (অসম্ভব কল্পনা) – ছাত্র ভাল নয়, অথচ এই ছেলেকে নিয়ে বাবার আকাশ কুসুম চিন্তা ভাবনা।
  • আষাঢ়ে গল্প (কাল্পনিক গল্প) – আনিস আষাঢ়ে গল্প শুনতে পছন্দ করে।
  • ইঁদুর কপালে (মন্দ ভাগ্য) – শখ করে সাটটা কিনলাম, অথচ ইঁদুর কপালে বলে সাটটা ছেড়া বের হল।
  • ঈদের চাঁদ (আকাঙ্ক্ষিত বস্তু) – হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে মা যেন ঈদের চাঁদ হাতে পেলেন।
  • উত্তম-মাধ্যম (প্রহার) – আজ করিম দুষ্টুমি করে অনেক উত্তম-মাধ্যম খেয়েছে।
  • এলাহি কান্ড (বিরাট ব্যাপার) – মন্ত্রি তার মেয়ের বিয়ের আয়োজনে এক এলাহি কান্ড ঘটিয়েছেন।
  • কুলুর বলদ (পরিশ্রম করে অথচ ফল পায় না) – বড় ছেলেরা সবসময় কুলুর বলদ হয়, বিনিময়ে কিছুই পায় না।
  • কড়ায় গন্ডায় (সম্পূর্ণ হিসাব) – মমিন সাহেব সচেতন লোক, সব হিসাব কড়ায় গন্ডায় বুঝে নেন।
  • কান-কাটা (বেহায়া) – রুমির মতো কান-কাটা লোক খুব কম আছে।
  • কাঠের পুতুল (নির্বাক) – এতা জঘন্য অন্যায় আমি কাঠের পুতুলের মতো দেখতে পারি না।
  • খেয়ের খাঁ (চাটুকার) – খয়ের খাঁ লোকেরা কখনও উন্নতি করতে পারে না।
  • গোড়ায় গলদ (মূলে ত্রুটি) – অংকটি কেমন করে মিলবে , এ যে গোড়ায় গলদ রয়েছে।
  • গোবরে পদ্নফুল (অস্থানে ভাল জিনিস) – ভিখারীর ঘরে মেধাবী ছেলে এ যেন গোবরে পদ্নফুল।
  • ঘোড়ার ডিম (অলিক বস্তু) – ঘোড়ার ডিম বলে বাস্তবে আসলে কিছুই নেই।
  • চাঁদের হাট (অত্যন্ত সুখ) – লটারী জিতে এখন তোমার সংসারে চাঁদের হাট বসেছে।
  • চোখের পর্দা (লজ্জা) – মেয়েটির চোখের পর্দা নেই, যখন তখন পাড়ায় ঘুরে বেড়ায়।
  • চোখের মণি (অতি প্রিয় বস্তু) – বিধবার একমাত্র পুত্র তার চোখের মণি।
  • টনক নড়া (সজাগ হওয়া) – চুরি হওয়ার পর সবারই টনক নড়ে।
  • টাকার কুমীর (প্রচুর চাকার মালিক) – অসাধু ব্যবসা করে রাতারতি টাকার কুমীর হওয়া যায়, কিন্তু শান্তি মিলে না।
  • ঠোঁট কাটা (স্পষ্টভাসী) – রফিকের ঠোঁট কাটা স্বভাব কখনও বদলাবে না।
  • ডুমুরের ফুল (অদৃশ্য বস্তু) – কি হে, তোমার যে দেখাই পাই না, তুমি কি ডুমুরের ফুল হলে নাকি?
  • তাসের ঘর (ক্ষণস্থায়ী) – সবার জীবনই তাসের ঘরের মত।
  • দহরম মহরম (খুব মাখামাখি) – দুষ্টু ছেলের সাথে দহরম মহরম ভাব করো না।
  • দুধের মাছি (সুসময়ের বন্ধু) – পকেটে টাকা থাকলে দুধের মাছির অভাব হয় না।
  • নয় ছয় (অপচয়) - অপদার্থ ছেলেরা বাবার টাকা নয় ছয় করে বেড়ায়।
  • পটল তোলা (মারা যাওয়া) – বৃদ্ধা মহিলাটি এতোদিনে পটল তুলেছেন।
  • বকধার্মিক (ভন্ড) – সে একজন বকধার্মিক লোক।
  • বাঘের দুধ (দুঃসাধ্য বস্তু) – টাকা হলে বাঘের দুধও পাওয়া যায়।
  • ব্যাঙের সর্দি (অসম্ভব) – আমার মতো দাগি আসামীকে জেলের ভয় দেখাচ্ছ, এ যে ব্যাঙের সর্দির অবস্থা।
  • বালির বাঁধ (ক্ষণস্থায়ী) – জীবন সংসার আসলে বালির বাঁধের মতো অবস্থা।
  • ভিজে বিড়াল (ভাল মানুষ সাজা) – রমজানের মতো লোক হতে সাবধান, সে একজন ভিজে বিড়াল।
  • মগের মুল্লুক (অরাজকতা) – তুমি যা খুশি তাই করতে পার না, কারন এটা মগের মুল্লুক নয়।
  • হ-য-ব-র-ল (বিশৃঙ্খল) – জামা-কাপড় গুলো হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ফেলে রেখেছো কেন?
  • হাত টান (চুরির অভ্যাস) – তোমার হাত টানের অভ্যাসটা এখনও গেল না।
  • কান পাতলা (সব কথাই বিশ্বাস করে যে) – তোমার মতো কান পাতলা লোক দিয়ে বিচার সালিশ হয় না।
  • খাবি খাওয়া (হিমশিম খাওয়া) – করিম সাহেব চাকরির সামান্য টাকায় সংসার চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত খাবি খাচ্ছে।
  • গোঁফখেজুরে (নিতান্ত অলস) – তোমার মতো গোঁফখেজুরে লোকের উন্নতি হবে কীভাবে?
  • গোবর গণেশ (মূর্খ) – রহিমের মত এমন গোবর গণেশ আমি আর কোথাও দেখি নাই।
  • গলাকাটা (সাংঘাতিক) – ঢাকা শহরের অনেক দোকানেই জিনিস পত্রের গলাকাটা দাম রাখে।
  • ঝাঁকেরে কৈ (একই গোত্রের) – এরা সবাই ঝাঁকের কৈ, একটাকে ধরলেই সব ধরা পড়বে।
  • তীর্থের কাক (সাহায্যের প্রত্যাশী) – গরিব লোকেরা ভোর থেকে সাহায্যের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে তীর্থের কাকের মতো বসে আছে।
  • ননীর পুতুল (কোমল দেহ) – আহা!বাছাধনের রোদের আঁচ সয় না, এ যেন ননীর পুতুল।
  • মিছরির ছুরি (মুখে মধু অন্তরে বিষ) – করিম সাহের কথায় কথায় মিছরিরছিুরি ব্যবহার করতে ওস্তাদ।
  • হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল) – হাতের পাঁচ যে বিশটি টাকা ছিল, তাও ছেরলর জন্য ঔষধ কিনতে শেষ হল।

3 comments: