বাংলা ব্যাকরণ
- ব্যাকরণ অর্থ কি - সংবিধান।
- কৌশলে কার্য উদ্ধার কোনটির অর্থ - ধরি মাছ না ছুঁই পানি।
- একাদশে বৃহস্পতি এর অর্থ কি - সৌভাগ্যের বিষয়।
- বাংলা ভাষার মূল উপাদান কি - ধ্বনি।
- ধ্বনি কত প্রকার - ২ প্রকার।
- কত গুলো বর্ণ পাশাপাশি সাজালে কি হয় - ধ্বনি হয়।
- কোন পদের বিভক্তি হয় না - অব্যয় পদের বিভক্তি হয় না।
- শব্দের মূলকে কি বলে - প্রকৃতি বলে।
- বাংলা ভাষার আদি উৎস কি - মাগধী প্রকৃতি।
- স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপকে কি বলে - কার বলে।
- খাঁটি বাংলা শব্দ কাকে বলে - তদ্ভব শব্দকে খাঁটি বাংলা শব্দ বলে।
- বাংলা ভাষার উৎপত্তি কবে - সপ্তম শতাব্দিতে।
- বাংলা ভাষার আনুমানিক বয়স কত - প্রায় দেড় হাজার বছর।
- বাংলা লিপির উৎস কি - বাম্মী লিপি।
- চর্যা পদের আদি নির্দেশক কে - লুইপা।
- চর্যা পদের আনুমানিক বয়স কত -প্রায় এক হাজার বছর।
- বাংলা সাহিত্যের প্রাচিন তম শাখা কি - কাব্য।
- বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সহজ ধারাগীত কি - কবিতা।
- বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন প্রকৃত থেকে - মাগধী প্রকৃত থেকে।
- বাক্যের কয়টি গুন থাকে কি কি - তিনটি গুন থাকে যথাঃ আকাংখা, আসক্তি, যোগ্যতা।
- ভাষা ভাষি জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলা ভাষার স্থান কত - ৪র্থ।
- বিশেষ্য পদ কাকে বলে - যে পদ দিয়ে কোন কিছুর নাম বুঝানো হয় তাকে বিশেষ্য পদ বলে।
- বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসগ কতটি - ২১টি।
- বাংলা ভাষায় বিদেশী উপসর্গ কতটি - ১৮ টি।
- বাংলা ভাষায় তৎসম উপসর্গ কতটি - ২০টি।
- বাংলা ভাষায় কতটি স্বরবর্ণ আছে - ১১ টি।
- বাংলা ভাষায় কতটি ব্যঞ্জনবর্ণ আছে - ৩৯ টি।
- বাংলা ভাষায় মোট কতট বর্ণ আছে - ৫০ টি।
- বাংলা ভাষায় মাত্রা ছাড়া বর্ণ কতটি - ১০ টি।
- বাংলা ভাষায় অর্ধ মাত্রা বর্ণ কতটি - ৮টি।
- বাংলা ভাষায় পূর্ণ মাত্রা বর্ণ কতটি - ৩২ টি।
- বাংলা ভাষায় কার এর সংখ্যা কতট - ১০ টি।
- বাংলা ভাষায় ফলা কতটি - ৭ টি।
- বর্ণ কত প্রকার - ২ প্রকার।
- কথা বলার জন্য কোন অঙ্গটি বেশি প্রয়োজন - ওষ্ঠ অঙ্গটি।
- যুগ্ন বর্ণ কাকে বলে - বিভিন্ন বর্ণ যুক্ত হলে তাকে যুগ্ন বর্ণ বলে।
- বাক্যে যার সম্পর্কে বলা হয় তাকে কি বলে - উদ্দেশ্য বলে।
- পদ কাকে বলে - বাক্যে ব্যবহিত প্রত্যেকটি অর্থবোধক শব্দকে পদ বলে।
- চর্যা পদের কোন পদটি খন্ডিত আকারে পাওয়া গেছে - ১০ নং পদ।
- করন শব্দের অর্থ কি - দ্বারা।
- যতই পড়িবে ততই শিখিবে - The more you read the more you will learn.
- বাজেট সম্পর্কে লোক কি বলেছেন - What do the people say about the budget.
- ঈদ এক মাস বাকী - It is one month to Eid.
- বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ - Bangladesh is a progressing country.
- দশটা বাজতে ১৫ মিনিট বাকী - It is fifteen minutes to ten.
- টাকায় টাকা হয় - Money be gets money.
- দীনে দয়া কর - Be kind on the poor.
- যে যত পায় সে তত চায় - The more he gets the more he wants.
- এখন ১০ টা বেজে ১৫ মিনিট - It is ten past fifteen minutes.
- আপনে বাঁচলে বাপের নাম - To preservation is the first low of nature.
- চাচা আপন প্রান বাঁচা - Every man is for himself.
- ফলেতে পরিচয় - A tree is known by its fruits.
- বিপদ কখনো একা আসে না - Misfortune never come alone.
- শুধু কথায় পেট ভরে না - Wishes never fill the bag.
- পেলেনা তাই খেলেনা - The grapes are sour.
- গায়ে মানেনা আপনী মোড়ল - A fool of others to himself a sage.
- ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগিটি মারা গেল - The patient had died before the doctor came.
- ডাক্তার আসিবার পর রোগিটি মারা গেল - The patient had died after the doctor had come.
- পানির কোন রং নেই - Water has no colour of its own.
- একজন সবাইকে খুশি করতে পারে না - One cannot please everyone.
- যত বেশি তত খুশি - The more the merrier.
- গরীব সর্বদাই অত্যাচারিত হয় - poor are always punish by the rich man.
- তার বাবা একজন সৎ কর্মচারী - His father is an honest officer.
- সূর্য পূর্ব দিকে উঠে - The Sun rise in the East.
বচন
- বচন অর্থ কি - সংখ্যা।
সাধারনত মূল শব্দের সাথে (রা,গণ,দল,গুলো,বগ©,রাশি,গুচ্ছ,রাজি,পুঞ্জ,মালা,বলী) ইত্যাদি
শব্দ যোগ করে বহুবচন করা হয়।
একবচন
|
বহুবচন
|
একবচন
|
বহুবচন
|
বালক
|
বালকেরা
|
কুকুর
|
কুকুরগুলো
|
ধনী
|
ধনীগণ
|
মানুষ
|
মানুষগুলো
|
ছাত্র
|
ছাত্ররা
|
লোক
|
লোকগুলো
|
কবি
|
কবিগণ
|
শিক্ষক
|
শিক্ষকমন্ডলী
|
মন্ত্রী
|
মন্ত্রিবর্গ
|
ডাকাত
|
ডাকাতদল
|
বই
|
বইগুলো
|
পর্বত
|
পর্বতমালা
|
মেঘ
|
মেঘপুঞ্জ
|
পত্র
|
পত্রবলী
|
তারকা
|
তারকারাজি
|
বৃক্ষ
|
বৃক্ষরাজি
|
গ্রন্থ
|
গ্রন্থবলী
|
জল
|
জলরাশি
|
ঘটনা
|
ঘনটাবলী
|
ধূলি
|
ধুলিরাশি
|
রাশি
|
রাশিমালা
|
কবিতা
|
কবিতারাজি
|
গল্প
|
গল্পগুচ্ছ
|
হাত
|
হাতগুলো
|
এ/যে
|
এরা/যারা
|
কে
|
কারা
|
ইনি
|
এরা
|
যিনি
|
যারা
|
সে,তিনি
|
তারা
|
তা
|
সেগুলো
|
লিঙ্গ পরিবর্তন
লিঙ্গ কত প্রকার - ৪ প্রকার যথাঃ
১.পুংলিঙ্গ, ২.স্ত্রীলিঙ্গ, ৩.উভয়লিঙ্গ, ৪.ক্লীবলিঙ্গ।
লিঙ্গ কথাটির অর্থ কি - চিহ্ন।
পুংলিঙ্গ
|
স্ত্রীলিঙ্গ
|
পুংলিঙ্গ
|
স্ত্রীলিঙ্গ
|
চতুর
|
চতুরা
|
গোয়ালা
|
গোয়ালিনী
|
মহাশয়
|
মহাশয়া
|
গুরু
|
গুর্বী
|
মহৎ
|
মহতী
|
পিতামহ
|
পিতামহী
|
কিনিষ্ঠ
|
কনিষ্ঠা
|
প্রিয়
|
প্রিয়া
|
চপল
|
চপলা
|
শূদ্র
|
শূদ্রানী
|
সরল
|
সরলা
|
রজক
|
রজকী
|
পাগল
|
পাগলিনী
|
অভাগা
|
অভাগিনী
|
নাপিত
|
নাপিতানী
|
মেথর
|
মেথরানী
|
সভাপতি
|
সভানেত্রী
|
ব্যাঘ্র
|
ব্যাঘ্রী
|
অনাথ
|
অনাথা
|
শিষ্য
|
শিষ্যা
|
প্রথম
|
প্রথমা
|
পাচক
|
পাচিকা
|
সম্পাদক
|
সম্পাদিকা
|
ভাগ্যবান
|
ভাগ্যবতী
|
সৎ
|
সতী
|
রূপবান
|
রূপবতী
|
শ্রীমান
|
শ্রীমতী
|
মহৎ
|
মহতী
|
বিদ্বান
|
বিদূষী
|
শুক
|
সারী
|
কর্তা
|
গিন্নী
|
খান
|
খনম
|
ভাসুর
|
জা
|
খানসামা
|
আয়া
|
জনক
|
জননী
|
পতি
|
জায়া
|
সম্রাট
|
সম্রাজ্ঞী
|
ভূত
|
পেত্নী
|
কবি
|
মহিলা
কবি
|
প্রভূ
|
প্রভুপত্নী
|
সত্যবাদি
|
সত্যবাদিনী
|
সভ্য
|
মহিলা
সভ্য
|
শিল্পী
|
মহিলা
শিল্পী
|
শ্রমিক
|
নারী
|
বোন-পো
|
বোন-ঝি
|
পুলিশ
|
মহিলা
পুলিশ
|
তনয়
|
তনয়া
|
ক্রৌঞ্চ
|
ক্রৌঞ্চা
|
মৃগ
|
মৃগী
|
সাধু
|
সাধ্বী
|
কিঙ্কর
|
কিঙ্করী
|
ব্রাক্ষ্ম
|
ব্রাক্ষ্মণী
|
উপধ্যায়
|
উপাধ্যায়ানী
|
ভক্ষক
|
ভক্ষিকা
|
মাতুল
|
মাতুলানী
|
চৌধুরী
|
চৌধুরানী
|
পন্ডিত
|
পন্ডিতানী
|
বন
|
বনানী
|
বরুণ
|
বরুণানী
|
মৃন্ময়
|
মৃন্ময়ী
|
ভুজঙ্গ
|
ভুজঙ্গী
|
শ্বেতাঙ্গ
|
শ্বেতাঙ্গিনী
|
জামাইবাবু
|
দিদিমণি
|
ভূয়ান
|
ভূয়সী
|
ঠাকুর
|
ঠাকুরণ
|
হুজুর
|
হুজুরাইন
|
শ্রেয়ান
|
শ্রেয়সী
|
যশস্বী
|
যশস্বিনী
|
সন্ধি বিচ্ছেদ
- সন্ধি কত প্রকার - ৩ প্রকার যথাঃ ১.স্বরসন্ধি, ২.ব্যঞ্জনসন্ধি, ৩.বিসর্গসন্ধি।
- সন্ধি অর্থ কি - মিলন।
- সন্ধি শব্দকে কি করে - সহজ করে।
নিম্নে কতগুলো সন্ধি বিচ্ছেদ দেখালো হলোঃ
অন্য+অন্য
= অন্যান্য
|
অপর+অপর=
অপরাপর
|
বধূ+উৎসব
= বধূৎসব
|
নব+অন্ন
= নবান্ন
|
স্ব+অধীন
= স্বাধীন
|
দিব+লোক
= দ্যুলোক
|
ভিক্ষা+অন্ন
= ভিক্ষান্ন
|
যথা+অর্থ = যথার্থ
|
মহী+ঈশ
= মহীশ
|
মহা+অর্ঘ =মহার্ঘ
|
মহা+আশয়
= মহাশয়
|
লঘু+ঊর্মি
= লঘূর্মি
|
অতি+ইত
= অতীত
|
রবি+ইন্দ্র
= রবীন্দ্র
|
সতী+ঈশ
= সতীশ
|
প্রতি+ঈক্ষা
= প্রতীক্ষা
|
ক্ষিতি+ঈশ
= ক্ষিতীশ
|
কটু+উক্তি
= কটূক্তি
|
স্ব+ইচ্ছা
= স্বেচ্ছা
|
নর+ঈশ
= নরেশ
|
পরম+ঈশ্বর
= পরেমশ্বর
|
মহা+ইন্দ্র
= মন্দ্রেহ
|
উমা+ঈশ
= উমেশ
|
হিত+উপদেশ
= হিতোপদেশ
|
পর+উপকার
= পরোপকার
|
সূর্য+উদয় = সূর্যোদয়
|
ফল+উদয়
= ফলোদয়
|
নব+ঊড়া
= নবোঢ়া
|
এক+ঊন
= একোন
|
পর্বত+ঊর্ধ্ব = পর্বতোর্ধ্ব
|
গৃহ+ঊর্ধ্ব
= গৃহোর্ধ্ব
|
মহা+উদয়
= মহোদয়
|
যথা
+ উচিত = যথোচিত
|
মহা+ঊর্মি
= মহোর্মি
|
গঙ্গা+ঊর্মি
= গঙ্গোর্মি
|
জন+এক
= জনৈক
|
হিত+এষী
= হিতৈষী
|
এক+এক
= একৈক
|
মত+ঐক্য
= মতৈক্য
|
রাজ+ঐশ্বর্য = রাজৈশ্বর্য
|
সদা+এব
= সদৈব
|
তথা+এব
= তথৈব
|
সপ্ত+ঋষি
= সপ্তর্ষি
|
দেব+ঋষি
= দেবর্ষি
|
রাজা+ঋষি
= রাজর্ষি
|
শীত+ঋত
= শীতার্ত
|
ক্ষুধা+ঋত
= ক্ষুধার্ত
|
নে+অন
= নয়ন
|
নৈ+অক
= নায়ক
|
পো+অন
= পবন
|
লো+অন
= লবণ
|
গো+এষণা
= গবেষণা
|
গো+আদি
= গবাদি
|
পৌ+অক
= পাবক
|
নৌ+ইক
= নাবিক
|
ভৌ+উক
= ভাবুক
|
অতি+অন্ত
= অত্যন্ত
|
প্রতি+এক
= প্রত্যেক
|
ইতি+আদি
= ইত্যাদি
|
সু+অল্প
= স্বল্প
|
সু+আগত
= স্বাগত
|
অনু+এষণ
= অন্বেষণ
|
সু+অচ্ছ
= স্বচ্ছ
|
পর+পর
= পরস্পর
|
বন+পতি
= বনস্পতি
|
গো+পদ
= গোস্পদ
|
ষট+দশ
= ষোড়শ
|
পোয়া+উনে
= পৌনে
|
প্র+ঊঢ়
= প্রৌঢ়
|
এক+দশ
= একাদশ
|
তৎ+কর
= তস্কর
|
আ+চর্য =আশ্চর্য
|
বাক+ঈশ
= বাগীশ
|
ষট+যন্ত্র
= ষড়যন্ত্র
|
ষট+আনন
= ষড়ানন
|
ষট+ঋতু
= ষড়ঋতু
|
চলৎ+চিত্র
= চলচ্চিত্র
|
উৎ+চারণ
= উচ্চারণ
|
তদ+ছবি
= তচ্ছবি
|
উৎ+জ্বল
= উজ্জ্বল
|
কুৎ+ঝটিকা
= কুজ্ঝটিকা
|
বি+ছেদ
= বিচ্ছেদ
|
বি+ছিন্ন
= বিছিন্ন
|
এক+ছত্র
=একচ্ছত্র
|
উৎ+শ্বাস
= উচ্ছ্বাস
|
চলৎ+শক্তি
= চলচ্ছক্তি
|
বৃষ+তি
= বৃষ্টি
|
নষ+ত
= নষ্ট
|
ষষ+থ
= ষষ্ঠ
|
নিষ+থা
= নিষ্ঠা
|
সম্+বাদ
= সংবাদ
|
কিম্+বা
= কিংবা
|
সম্+ঘ
= সংঘ
|
সম্+যোগ
= সংযোগ
|
নিঃ+ঠুর
= নিষ্ঠুর
|
পরিঃ+কার
= পরিষ্কার
|
পুরঃ+কার
= পুরস্কার
|
নিঃফল
= নিষ্ফল
|
অহঃ+অহ
= অহরহ
|
শিরঃ+ছেদ
= শিরচ্ছেদ
|
দুঃ+আত্না
= দুরাত্না
|
নিঃ+আপদ
= নিরাপদ
|
অতঃ+এব
= অতএক
|
নিঃ+অবধি
= নিরবধি
|
প্রাতঃ+আশ
= প্রাতরাশ
|
যশঃ+ইচ্ছা
= যশেচ্ছা
|
বয়ঃ+অধিক=
বয়োধিক
|
অন্তঃ+আত্না
= অন্তরাত্না
|
পুনঃ+অধিকার=পুনরাধিকার
|
পুনঃ+আগত=
পুনরাগত
|
জ্যোতিঃ+ইন্দ্র=
জ্যোতিরিন্দ্র
|
বিঃদ্রঃ যদি শব্দের শেষে শ/ক্ষ থাকলে তার পরিবর্তে – ঈ হবে এবং ঢ়/(
© ) থাকলে
– ঊ হবে।
বিপরীতার্থক শব্দ
বিপরীতার্থক শব্দ
প্রদত্ত শব্দ
|
বিপরীত শব্দ
|
প্রদত্ত শব্দ
|
বিপরীত শব্দ
|
অধম
|
উত্তম
|
আকার
|
নিরাকার
|
অস্ত
|
উদয়
|
অগ্র
|
পশ্চাৎ
|
আদি
|
অন্ত
|
ইতি
|
শুরু
|
উষ্ঞ
|
শীতল
|
কু
|
সু
|
ঈষৎ
|
প্রচুর
|
খরিদ
|
বিক্রয়
|
চঞ্চল
|
স্থির
|
নিদ্রিত
|
জাগ্রত
|
প্রভু
|
ভৃত্য
|
বিদ্বান
|
মূর্খ
|
লঘু
|
গুরু
|
ঔদ্ধত্য
|
বিনয়
|
অনুগ্রহ
|
নিগ্রহ
|
সৌম্য
|
উগ্র
|
চাক্ষুস
|
অগোচর
|
নিমগ্ন
|
উদাসীন
|
আবাহন
|
বিসর্জন
|
অনুরক্ত
|
বিরক্ত
|
অলীক
|
সত্য
|
অধিত্যকা
|
উপত্যকা
|
অশন
|
অনশন
|
অম্ল
|
মধুর
|
অর্বাচীন
|
প্রচীন
|
আর্দ্র
|
শুষ্ক
|
আসামী
|
ফরিয়াদি
|
আবির্ভাব
|
তিরোধান
|
অণু
|
বৃহৎ
|
অধঃ
|
ঊর্ধ্ব
|
আকুঞ্চন
|
প্রসারণ
|
অন্ত্য
|
আদ্য
|
আকস্মিক
|
চিরন্তন
|
আঁটি
|
শাঁস
|
উদ্ধত
|
বিনীত
|
ঋজু
|
বক্র
|
ইদানিং
|
তাদৃশ
|
উদ্যত
|
বিরত
|
উৎরানো
|
তলানো
|
উৎকন্ঠা
|
স্বস্তি
|
এঁড়ে
|
বকনা
|
ঈশান
|
নৈর্ঋত
|
ঊষর
|
উব©র
|
কৃষ্ঞ
|
শুভ্র
|
ক্রন্দন
|
হাস্য
|
ঔচিত্য
|
অনৌচিত্য
|
ক্ষয়িষ্ঞু
|
বর্ধিষ্ঞু
|
গূঢ়
|
ব্যক্ত
|
গঞ্জনা
|
প্রশ্রয়
|
গোরা
|
কালা
|
ঢ্যাঙা
|
খাঁটো
|
দৈব
|
দুর্দৈব
|
পারত্রিক
|
ঐহিক
|
বহিরঙ্গ
|
অন্তরঙ্গ
|
বিস্তৃত
|
সংক্ষিপ্ত
|
ভূত
|
ভবিষ্যৎ
|
মহাত্মা
|
পাপাত্মা
|
মূর্ত
|
বিমূর্ত
|
ভৎসনা
|
প্রশংসা
|
মন্থর
|
দ্রুত
|
মত্ত
|
নির্লিপ্ত
|
রোষ
|
প্রসাদ
|
লেজা
|
মুড়া
|
শীর্ণ
|
স্থূল
|
শৈত্য
|
গ্রৈষ্ম
|
লিকলিকে
|
মোটাসোটা
|
শর্তাধীন
|
নিঃশর্ত
|
শর্বরী
|
দিবস
|
শড়া
|
টাটকা
|
শ্রী
|
কুশ্রী
|
সৌম্য
|
করাল
|
হর্ষ
|
বিষাদ
|
হরণ
|
পূরণ
|
হলাহল
|
সুধা
|
হৃদ্যতা
|
কপটতা
|
হ্রস্ব
|
দীর্ঘ
|
হৃদ্য
|
ঘৃণা
|
লেখ্য
|
কথ্য
|
দৃঢ়
|
শিথিল
|
তামসিক
|
রাজসিক
|
কারক ও বিভক্তি
কারক
ছয় প্রকার যথাঃ ১)কর্তৃকারক ২)কর্মকারক ৩)করণ কারক ৪)সম্প্রদান কারক ৫)অপাদান
কারক ৬)অধিকরণ কারক ।
নিচের
একটি বাক্যে উল্লেখিত ছয়টি কারকের উপস্থিতি দেখানো হলঃ
{ করিম সাহেব তার বাড়িতে নিজ হাতে
বাক্স হতে ভিখারীদের টাকা দান করছেন }
১
|
কে দান
করেছন? উত্তরঃ করিম সাহেব; এখানে করিম সাহেব
(কর্তৃ
সম্পর্ক) ।
|
২
|
কি দান
করেছেন ? উত্তরঃ টাকা; এখানে টাকা (কর্ম সম্পর্ক) ।
|
৩
|
কি দিয়ে
দান করেছেন ? উত্তরঃ হাত দিয়ে; এখানে হাত দিয়ে
(করণ
সম্পর্ক) ।
|
৪
|
কাদের
দান করেছন ? উত্তরঃ ভিখারীদের; এখানে ভিখারীদের
(সম্প্রদান
সম্পর্ক) ।
|
৫
|
কোথা
হতে দান করেছেন ? উত্তরঃ বাক্স হতে; এখানে বাক্স
হতে (অপাদান সম্পর্ক) ।
|
৬
|
কোথায়
দান করেছেন ? উত্তরঃ বাড়িতে (অধিকরণ সম্পর্ক) ।
|
নিম্নে এদের সংঙ্গা দেওয়া হল-
কর্তৃকারক
|
যে ক্রিয়া
সম্পাদন করে বা যার দ্বারা সম্পন্ন হয় তাকে কর্তৃকারক বলে। যেমন- রানা ভাল
ছেলে, জুয়েল বই পড়ে।
|
কর্মকারক
|
কর্তা
যা করে তাকে কর্ম কারক বলে। যেমন-কুরআন
পড়তে হবে, ফাহিম রাফিদকে কলমটি দিল।
|
করণ কারক
|
কর্তা
যা দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে করণ কারক বলে। যেমন-রহমান ছুরি দ্বারা
হাত কাটল, মন দিয়ে পড়।
|
সম্প্রদান
কারক
|
যাকে
নিজ স্বত্ব ত্যাগ করে কোনো কিছু দান করা হয় তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন-ভিক্ষুককে
ভিক্ষা দাও, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দাও।
|
অপাদার
কারক
|
যা হতে
চলিত,ভীত,উৎপন্ন,গৃহীত,রক্ষিত ইত্যাদি দ্বারা বাক্য সম্পাদিত হয় তাকে অপাদান কারক
বলে।যেমন- মেঘ হতে বৃষ্টি হয়, তিল হতে তৈল হয়।
|
অধিকরণ
কারক
|
যে স্থানে
যে সময়ে বা বিষয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে অধিকরণ কারক বলে।যেমন- বনে বাঘ থাকে,
সকালে সূর্য উঠে, আমি অংকে
ভাল।
|
বিভক্তি
বিভক্তির নাম
|
বিভক্তির চিহ্ন
|
উদাহরণ
|
প্রথমা
বা (শূন্য)
|
রা
|
আমি দিব্য চক্ষু পেয়েছি।
যুবকরা প্রাণপনে চেষ্টা করে।
|
দ্বিতীয়া
|
কে, রে,
দের
|
তোমাকে বাড়ি যেতে হবে।
বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দাও।
|
তৃতীয়া
|
দ্বারা,
দিয়ে/দিয়া, কর্তৃক
|
সে ঠোঁট
দিয়ে শব্দ করে।
রনি
কর্তৃক
বই পঠিত হয়।
|
চতুর্থী
|
কে, রে,
দিগের
|
রহিম
বালকরে মেরেছে।
আমি তোমারে
দেখে নেব।
|
পঞ্চর্মী
|
হতে,
থেকে, চেয়ে
|
তোমার
চেয়ে
আমি উত্তম।
করিমের
থেকে
রহিম ভাল।
|
ষষ্ঠী
|
র
|
রাজের দর্শন মেলে না।
তোমর এ কাজ করা উচিত।
|
সপ্তমী
|
এ, তে,
য়
|
পাগলে কি না বলে।
তোমায় দেখলে পাপ হয়।
|
বিঃদ্রঃ এখানে যে শব্দের নিচে দাগ থাকবে সে শব্দের শেষের অক্ষরটা অথবা
শব্দটা দেখে বা উচ্চারন করে বিভক্তি নির্নয় করতে হবে।
সমাস
- সমাস শব্দের অর্থ কি - সংক্ষেপ।
- সমাস ভাষাকে কি করে - সংক্ষেপ করে।
- তৎপুরুষ সামাসে কোন পদ প্রধান - পর পদ।
- সমাস ছয় প্রকার যথাঃ 1) দ্বন্দ্ব সমাস,2) কর্মধারয় সমাস,3) তৎপুরুষ সমাস,4) বহুব্রীহি সমাস,5) দ্বিগু সমাস,6) অব্যয়ীভাব সমাস।
- দ্বন্দ্ব সমাসঃ যে সমাসের সমস্ত পদে পূর্বপদ এবং পরপদ উভয়ের অর্থেরই প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।যেমনঃ মাতা ও পিতা=মাতাপিতা, ডাল ও ভাত= ডালভাত, হত ও অহত=হতাহত, ধর্ম ওঅর্ধ= ধর্মাধর্ম।
- কর্মধারয় সমাসঃ বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ মিলে যে সমাস হয় এবং সমস্ত পদে পরপদের অর্থ প্রাধা্ন্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।যেমনঃ যিনি রাজা তিনি ঋষি= রাজর্ষি, বিষাদ রূপ সিন্ধু= বিষাদসিন্ধু, লাল যে ফুল=লালফুল।
- তৎপুরুষ সমাসঃ যে সমাসে পূর্বপদে বিভক্তি লোপ পেয়ে পরপদের অর্থ প্রধান্য লাভ করে তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।যেমনঃ গায়ে ঢাকা= গা-ঢাকা, বিপদকে আপন্ন= বিপদাপন্ন, হাত দিয়ে ছানি = হাতছানি।
- বহুব্রীহি সমাসঃ যে সমাসে পূর্বপদ বা পরপদ কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে আলাদা অর্থ বুঝায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।যেমনঃ হাতে হাতে যে যুদ্ধ=হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা= কানাকানি, নদী মাতা যার=নদীমাতৃক,নেই ঈমান যার=বেঈমান, আশিতে বিষ যার= আশিবিষ।
- দ্বিগু সমাসঃ যে সমাসে সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বপদ হয়ে সমাহার বা সমষ্টি বুঝায় তাকে দ্বিগু সমাস বলে।যেমনঃ চার রাস্তার সমাহার= চৌরাস্তা, সপ্ত অহের সমাহার= সপ্তাহ, তিন কোণের সমাহার= ত্রিকোণ, তিন তারের সমাহার= সেতার, শত অব্দের সমাহার= শতাব্দী, নব রত্নের সমাহার= নবরত্ন, তিন মাথার সমাহার= তেমাথা, অষ্ট ধাতুর সমাহার= অষ্টধাতু।
- অব্যয়ীভাব সমাসঃ অব্যয় পদ পূর্বে বসে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় এবং সমস্ত পদে পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।যেমনঃ কূলের সমীপে= উপকূল, মরণ পর্যন্ত= আমরণ, দিন দিন= প্রতিদিন, ভাতের অভাব= হাভাত, নদীর সদৃশ= উপনদী, জ্ঞানের যোগ্য= অভিজ্ঞ।
একার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ
- অগ্নি – আগুন, অনল, হুতাশন, সর্বশুচি, সর্বভূক।
- আনন্দ – খুশি, সুখ, হর্ষ, আমোদ, উল্লাস।
- ইচ্ছা – সাধ, বাসনা, কামনা, অভিপ্রায়, অভিলাষ।
- ঊষা – ভোর, সকাল, প্রভাত, প্রাতঃকাল, প্রত্যূষ।
- কিরণ – আলো, কর, প্রভা, রশ্মি, জ্যোতি।
- গৃহ – ঘর, আলয়, ভবন, সদন, নিকেতন,বাড়ী।
- ঘোড়া – অশ্ব, ঘোটক, বাজী, তুরগ, তুরঙ্গম।
- চন্দ্র – চাঁদ, শশী, শশক, শশধর, সুধাকর।
- জল – পানি, নীর, জীবন, বারি, সলিল,পয়ঃ,অম্বু,উদক, অপৃ, অন্ত, তোয়া।
- বন – জঙ্গল, কানন, অরণ্য, গহন, অটবী।
- বাতাস – বায়ূ, হাওয়া, পবন, অনিল, সমীর।
- মেঘ – দেয়া, জলধর, নীরদ, বারি, অভ্র।
- রাজা – নৃপতি, ভূপাল, নরপতি, ভূপতি, দন্ডধর।
- সূয© - দিবাকর, অরুণ, দিনমণি, ভানু, তপন।
- হস্ত – হাত, কর, বাহু, ভুজ, পাণি।
- পাহাড় - পর্বত, গিরি, শৈল, আর্দ্র, ভূধর, অচল, মহীধর,শৃঙ্গধর, মহেন্দ্র, অচল, অদ্রি, নড়।
- কাক – বায়স, পরভৃৎ, বলিভুক, কাণুক, বৃক, ক্রূররব।
- কন্যা – মেয়ে, নন্দিনী, তনয়া, দুহিতা, আত্মজা, দুলালী, পুত্রী, কুমারী, কনে, স্বজা।
- চুল – কেশ, চিকুর, কুন্তল, অলক, কেশপাশ, কেশদাম।
- চক্ষু – চোখ, আঁখি, অক্ষি,নয়ন, নেত্র, লোচন, দৃক, দৃষ্টি, দর্শনেন্দ্রীয়।
- দেহ – গা, গাত্র, অঙ্গ, তনু, কায়া, শরীর, কলেবর, কায়।
- পুত্র – ছেলে, তনয়, নন্দন, দুত, দুলাল, আন্মজ, সূনু, অঙ্গজ।
- রাত্রি – নিশি, নিশা, রাত, রজনী, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশীথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা।
- সাপ - সর্প, অহি, ভুজগ, ভুজঙ্গ, ভুজঙ্গম, নাগ, ফণী, ফণাধর, আশীবিষ, বিষধর, বায়ূভূক্।
- সমুদ্র – সাগর, সিন্ধু, বারিধি, জলধি, অর্ণব, পারাপার, রত্নাকর, জলনিধি, নীলাম্বু, অম্বুধি, পয়োধি।
- স্বর্গ - সুরলোক, দ্যু, দ্যুলোক, ত্রিদশালয়, বেহেশত, অমরাবতী, দিব্যলোক, জান্নাত, ইন্দ্রালয়।
- স্বর্ণ - সোনা, কনক, কাঞ্চন, হিরণ্য, সুবর্ণ, হেম, হিরণ।
- সূর্য - দিবাকর, প্রভাকর, রবি, তপন, সবিতা, দিনমণি, দিননাথ, কিরণমালী, ভানূ, আদিত্য, অরুণ।
- হাতি – হস্তী, করী, গজ, নাগ, দন্তী, দ্বিপ, বারণ, মাতঙ্গ, কুঞ্জর, দ্বিরদ।
বাক্য সংকোচন
- অক্ষির অগোচর – পরোক্ষ।
- অক্ষির সম্মুখে – প্রত্যক্ষ।
- উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে – কৃতজ্ঞ।
- যা পূর্বে বা কখনো শোনা যায় নি - অশ্রুতপূর্ব।
- যা হতে পারে – সম্ভব।
- গা পূর্বে ছিল - ভূতপূর্ব।
- যা পূর্বে ঘটে নি - অঘটনপূর্ব।
- যা মর্মকে স্পর্শ করে - মর্মস্পর্শী।
- যা করা উচিত - কর্তব্য।
- যা সহজে পাওয়া যায় না – দুষ্প্রাপ্য।
- পান করার ইচ্ছা – পিপাসা।
- ভিক্ষার অভাব – দুর্ভিক্ষ।
- বাধা মানে না যে – অবাধ্য।
- বিনা পয়সার – মুফৎ।
- পা থেকে মাথা পর্যন্ত – আপাদমস্তক।
- যে নারী প্রিয় কথা বলে – প্রিয়ংবদা।
- দিনের প্রথম ভাগ – পূর্বাহ্ণ।
- দিনের মধ্যভাগ – মধ্যাহ্ন।
- দিনের শেষভাগ – অপরাহ্ন।
- একই গুরুর শিষ্য - সতীর্থ।
- একই মায়ের সন্তান – সহোদর।
- ভবিষ্যতে যা ঘটবে – ভবিতব্য।
- ঘোড়ার ডাক – হ্রেষা।
- পাখির কলরব – কূজন।
- ময়ূরের ডাক – কেকা।
- কোকিলের ডাক – কুহু।
- ভ্রমরের ডাক – গুঞ্জন।
- আপনার রং বা বর্ণ লুকায় যে - বর্ণচোরা।
- আদি হতে অন্ত পর্যন্ত – আদ্যন্ত।
- উড়ে যাচ্ছে যা – উড়ন্ত।
- উপকারীর অপকার করে যে – কৃতঘ্ন।
- যা জয় করা কঠিন - দুর্জয়।
- যে গাছ অন্য গাছের উপর জন্মে – পরগাছা।
- যে অন্য দিকে মন দেয় না – অনন্যমনা।
- চৈত্র মাসের ফসল – চৈতালী।
- হেমন্ত কালে জন্মে যা – হৈমন্তিক।
- নিজের ইচ্ছায় – স্বেচ্ছায়।
- বয়সে বড় যে – জ্যেষ্ঠ।
- বয়সে ছোট যে – কনিষ্ঠ।
- যা বলা হয়েছে – উক্ত।
- জয় করার ইচ্ছা – জয়েচ্ছা।
- বিদেশে থাকে যে – প্রবাসী।
- মৃতের মত অবস্থা – মুমূর্ষু।
- ইতিহাস জানেন যিনি – ইতিহাসবেত্তা।
- যিনি ইতিহাস লিখেন – ঐতিহাসিক।
- ন্যায় যুদ্ধে নিহত যে – শহীদ।
- অন্যপক্ষ – বিপক্ষ।
- পথ ভুলেছে যে – পথভোলা।
- অবিরাম চেষ্টা – অধ্যবসায়।
- যার অন্ন নেই – নিরন্ন।
- বন্যায় ভেসে যেছে এমন – প্লাবিত।
- কাজ করে সাফল্য অর্জন করা – কৃতিত্ব।
- যিনি শিল্প চর্চা করে – শিল্পী।
- যা সিদ্ধ হয় নি – আতপ।
- জানার আগ্রহ – কৌতূহল।
- যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না এক কথায় কি হবে - ঊষর।
- যে বস্তি থেকে উৎখাত হয়েছে - উদ্বাস্তু।
বাগধারা
- অন্ধের যষ্টি (একমাত্র অবলম্বন) – বিধবার ছেলেটিই এখন তার অন্ধের যষ্টি।
- অমাবস্যার চাঁদ (যার দর্শন পাওয়া যায় না) – আজকাল তোমার দেখাই পাই না, তুমি কি অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেলে?
- অর্ধচন্দ্র দেওয়া (গলাধাক্কা দেওয়া) – দারোয়ান, এই অভদ্র ছেলেটিকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দাও।
- অরণ্যে রোদন (নিষ্ফল আবেদন) – কৃপণের নিকট ধার চাওয়া আর অরণ্যে রোদন করা একই কথা।
- আকাশ-পাতাল (ব্যবধানে বিশালতা)- জনি ও রনি বন্ধু বটে, কিন্তু তাদের আদর্শের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।
- আক্কেল সেলামী (অনভিঙ্গতার দন্ড) – বিনা টিকেটে রেলভ্রমণে আমার একশত টাকা আক্কেল সেলামী দিতে হল।
- আকাশ-কুসুম (অসম্ভব কল্পনা) – ছাত্র ভাল নয়, অথচ এই ছেলেকে নিয়ে বাবার আকাশ কুসুম চিন্তা ভাবনা।
- আষাঢ়ে গল্প (কাল্পনিক গল্প) – আনিস আষাঢ়ে গল্প শুনতে পছন্দ করে।
- ইঁদুর কপালে (মন্দ ভাগ্য) – শখ করে সাটটা কিনলাম, অথচ ইঁদুর কপালে বলে সাটটা ছেড়া বের হল।
- ঈদের চাঁদ (আকাঙ্ক্ষিত বস্তু) – হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে মা যেন ঈদের চাঁদ হাতে পেলেন।
- উত্তম-মাধ্যম (প্রহার) – আজ করিম দুষ্টুমি করে অনেক উত্তম-মাধ্যম খেয়েছে।
- এলাহি কান্ড (বিরাট ব্যাপার) – মন্ত্রি তার মেয়ের বিয়ের আয়োজনে এক এলাহি কান্ড ঘটিয়েছেন।
- কুলুর বলদ (পরিশ্রম করে অথচ ফল পায় না) – বড় ছেলেরা সবসময় কুলুর বলদ হয়, বিনিময়ে কিছুই পায় না।
- কড়ায় গন্ডায় (সম্পূর্ণ হিসাব) – মমিন সাহেব সচেতন লোক, সব হিসাব কড়ায় গন্ডায় বুঝে নেন।
- কান-কাটা (বেহায়া) – রুমির মতো কান-কাটা লোক খুব কম আছে।
- কাঠের পুতুল (নির্বাক) – এতা জঘন্য অন্যায় আমি কাঠের পুতুলের মতো দেখতে পারি না।
- খেয়ের খাঁ (চাটুকার) – খয়ের খাঁ লোকেরা কখনও উন্নতি করতে পারে না।
- গোড়ায় গলদ (মূলে ত্রুটি) – অংকটি কেমন করে মিলবে , এ যে গোড়ায় গলদ রয়েছে।
- গোবরে পদ্নফুল (অস্থানে ভাল জিনিস) – ভিখারীর ঘরে মেধাবী ছেলে এ যেন গোবরে পদ্নফুল।
- ঘোড়ার ডিম (অলিক বস্তু) – ঘোড়ার ডিম বলে বাস্তবে আসলে কিছুই নেই।
- চাঁদের হাট (অত্যন্ত সুখ) – লটারী জিতে এখন তোমার সংসারে চাঁদের হাট বসেছে।
- চোখের পর্দা (লজ্জা) – মেয়েটির চোখের পর্দা নেই, যখন তখন পাড়ায় ঘুরে বেড়ায়।
- চোখের মণি (অতি প্রিয় বস্তু) – বিধবার একমাত্র পুত্র তার চোখের মণি।
- টনক নড়া (সজাগ হওয়া) – চুরি হওয়ার পর সবারই টনক নড়ে।
- টাকার কুমীর (প্রচুর চাকার মালিক) – অসাধু ব্যবসা করে রাতারতি টাকার কুমীর হওয়া যায়, কিন্তু শান্তি মিলে না।
- ঠোঁট কাটা (স্পষ্টভাসী) – রফিকের ঠোঁট কাটা স্বভাব কখনও বদলাবে না।
- ডুমুরের ফুল (অদৃশ্য বস্তু) – কি হে, তোমার যে দেখাই পাই না, তুমি কি ডুমুরের ফুল হলে নাকি?
- তাসের ঘর (ক্ষণস্থায়ী) – সবার জীবনই তাসের ঘরের মত।
- দহরম মহরম (খুব মাখামাখি) – দুষ্টু ছেলের সাথে দহরম মহরম ভাব করো না।
- দুধের মাছি (সুসময়ের বন্ধু) – পকেটে টাকা থাকলে দুধের মাছির অভাব হয় না।
- নয় ছয় (অপচয়) - অপদার্থ ছেলেরা বাবার টাকা নয় ছয় করে বেড়ায়।
- পটল তোলা (মারা যাওয়া) – বৃদ্ধা মহিলাটি এতোদিনে পটল তুলেছেন।
- বকধার্মিক (ভন্ড) – সে একজন বকধার্মিক লোক।
- বাঘের দুধ (দুঃসাধ্য বস্তু) – টাকা হলে বাঘের দুধও পাওয়া যায়।
- ব্যাঙের সর্দি (অসম্ভব) – আমার মতো দাগি আসামীকে জেলের ভয় দেখাচ্ছ, এ যে ব্যাঙের সর্দির অবস্থা।
- বালির বাঁধ (ক্ষণস্থায়ী) – জীবন সংসার আসলে বালির বাঁধের মতো অবস্থা।
- ভিজে বিড়াল (ভাল মানুষ সাজা) – রমজানের মতো লোক হতে সাবধান, সে একজন ভিজে বিড়াল।
- মগের মুল্লুক (অরাজকতা) – তুমি যা খুশি তাই করতে পার না, কারন এটা মগের মুল্লুক নয়।
- হ-য-ব-র-ল (বিশৃঙ্খল) – জামা-কাপড় গুলো হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ফেলে রেখেছো কেন?
- হাত টান (চুরির অভ্যাস) – তোমার হাত টানের অভ্যাসটা এখনও গেল না।
- কান পাতলা (সব কথাই বিশ্বাস করে যে) – তোমার মতো কান পাতলা লোক দিয়ে বিচার সালিশ হয় না।
- খাবি খাওয়া (হিমশিম খাওয়া) – করিম সাহেব চাকরির সামান্য টাকায় সংসার চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত খাবি খাচ্ছে।
- গোঁফখেজুরে (নিতান্ত অলস) – তোমার মতো গোঁফখেজুরে লোকের উন্নতি হবে কীভাবে?
- গোবর গণেশ (মূর্খ) – রহিমের মত এমন গোবর গণেশ আমি আর কোথাও দেখি নাই।
- গলাকাটা (সাংঘাতিক) – ঢাকা শহরের অনেক দোকানেই জিনিস পত্রের গলাকাটা দাম রাখে।
- ঝাঁকেরে কৈ (একই গোত্রের) – এরা সবাই ঝাঁকের কৈ, একটাকে ধরলেই সব ধরা পড়বে।
- তীর্থের কাক (সাহায্যের প্রত্যাশী) – গরিব লোকেরা ভোর থেকে সাহায্যের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে তীর্থের কাকের মতো বসে আছে।
- ননীর পুতুল (কোমল দেহ) – আহা!বাছাধনের রোদের আঁচ সয় না, এ যেন ননীর পুতুল।
- মিছরির ছুরি (মুখে মধু অন্তরে বিষ) – করিম সাহের কথায় কথায় মিছরিরছিুরি ব্যবহার করতে ওস্তাদ।
- হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল) – হাতের পাঁচ যে বিশটি টাকা ছিল, তাও ছেরলর জন্য ঔষধ কিনতে শেষ হল।
ReplyDeleteMuch thanks for this brilliant site. elegantly composed and useful substance you have.
Click Here : used-bakhoe 420f 0skr02123 for sale
2022 er suggestion ache
ReplyDeletevalo
ReplyDelete